জুলাইয়ে দমন-নিপীড়ন নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়েছে সরকার

বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১১:৪২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকার ও আওয়ামী লীগের যে দমন-নিপীড়ন ও হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল, তার তদন্তের বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) ধন্যবাদ জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশের পর, প্রধান উপদেষ্টা তার প্রেস উইং থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "আমি অন্তর্বর্তী সরকারে কর্মরত সকল ব্যক্তি এবং কোটি কোটি নাগরিকের সাথে মিলে বাংলাদেশকে এমন একটি দেশে পরিণত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেখানে সকল মানুষ নিরাপত্তা ও মর্যাদার সাথে বসবাস করতে পারবে।"
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্ট মাসে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারের পক্ষ থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, নির্যাতন এবং অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বহু ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন গোষ্ঠী, সংগঠন, এবং নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা জড়িত ছিল।
ওএইচসিএইচআর স্বাধীনভাবে এই তদন্ত করেছে এবং প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে তারা এসব মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় সরকারের ভূমিকা তুলে ধরেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার এবং তার নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে আওয়ামী লীগের সহিংস গোষ্ঠী ও সংগঠনগুলো মিলে পরিকল্পিতভাবে এসব গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে অংশ নিয়েছিল, যার মধ্যে কয়েকশো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, বিক্ষোভকারীদের উপর শারীরিক নিপীড়ন ও বলপ্রয়োগ, ব্যাপক গ্রেপ্তার এবং নির্যাতন অন্তর্ভুক্ত।
ওএইচসিএইচআর অনুযায়ী, ওই সময়ে প্রায় ১,৪০০ জন নিহত হয়েছিল, যারা সাধারণত মিলিটারি রাইফেল এবং মেটাল প্যালেট লোড করা শটগান দ্বারা নিহত হন, যা সাধারণত বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবহার করে থাকে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাজার হাজার মানুষ গুরুতরভাবে আহত হয়েছে, এবং অনেকেই স্থায়ীভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েছেন।
এছাড়া, পুলিশ এবং র্যাবের তথ্যানুসারে ১১,৭০০ এরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার ও আটক করা হয়েছিল, এবং নিহতদের মধ্যে প্রায় ১২-১৩ শতাংশ শিশু ছিল।
১৩৫ বার পড়া হয়েছে