গাইবান্ধায় চুরির দায়ে এক শিশুকে খুঁটির সাথে বেঁধে নির্যাতন

মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ২:৫১ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের দশলিয়া গ্রামে চুরির অভিযোগে এক শিশুকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করার ঘটনা ঘটেছে।
গত সোমবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, সকাল ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এই নির্যাতনের দৃশ্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে সাদুল্যাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের দশলিয়া গ্রামের লাড্ডু ব্যবসায়ী আনছার আলীর ছেলে রানা মিয়া (১১)-এর সঙ্গে। জানা গেছে, ৩ দিন আগে নলডাঙ্গা ইউনিয়নের দশলিয়া গ্রামের মৃত মো. আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ি থেকে কিছু মোবাইল ফোন এবং ১৬,৮০০ টাকা চুরি হয়ে যায়। সন্দেহজনকভাবে ১১ বছর বয়সী রানা মিয়াকে গতকাল সকালে আটক করা হয়। এরপর তাকে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বাজারের একটি মুদি দোকানের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয় স্থানীয় ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান ও কিছু এলাকাবাসীর দ্বারা। পরবর্তীতে রানা মিয়ার পরিবারের সদস্যরা এসে তাকে উদ্ধার করেন।
মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ৩ দিন আগে তার বাড়ি থেকে একটি মোবাইল ফোন, টাকা ও বিকাশের বাটন মোবাইল চুরি হয়েছিল। তাই সন্দেহজনকভাবে রানাকে আটক করেন তিনি। যদিও রানা মিয়ার পরিবার তাকে টাকা ফেরত দেয়ার প্রস্তাব দেয়, তবে তারা ১৬,৮০০ টাকা নয়, ৬,০০০ টাকা দিতে সম্মত হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয়রা শিশুটিকে মুদি দোকানের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন চালায়। পরে মোস্তাফিজুর রহমান ওই ৬,০০০ টাকা নিয়ে রানাকে ছেড়ে দেন।
রানার বাবা আনছার আলী জানান, তার ছেলেকে বিনা অপরাধে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি বলেন, স্থানীয়রা ১৬,০০০ টাকা নিয়ে শিশুটিকে ছেড়ে দিয়েছে এবং তিনি প্রশাসনের কাছে এই ঘটনায় বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে সাদুল্যাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজ উদ্দিন খন্দকার জানিয়েছেন, এখনও থানায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১৪৭ বার পড়া হয়েছে