বইমেলা শুরুর পর প্রথম শুক্রবারেই উপচে পড়া ভিড়

শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ৬:১৭ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
অমর একুশে বইমেলার প্রথম শুক্রবারে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং বাংলা একাডেমি চত্বর জনসমুদ্রে পূর্ণ হয়ে ওঠে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় বইমেলায় ভিড় হওয়া স্বাভাবিক ছিল; সকাল থেকে মেলা শুরু হলেও মূলত বিকালে বইপ্রেমী ও দর্শনার্থীদের আনাগোনা বেড়ে যায়।
এদিন লেখক-সাহিত্যিকদের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি এবং লিটলম্যাগ চত্বরে তাদের আড্ডাও চোখে পড়েনি। শিশুচত্বরেও সিসিমপুরের ইকরি, হালুম, টুকটুকিরা না থাকার কারণে সেখানে আগের মতো প্রাণবন্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি।
মেলা বেলা ১১টায় শুরু হয় এবং দুপুর ১টা পর্যন্ত ছিল শিশুপ্রহর, যার মধ্যে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে বিভিন্ন স্টলে ঘুরে বই দেখেন। তবে শিশুচত্বরে সিসিমপুরের মঞ্চ না থাকায় অনেকেই হতাশ হন।
শিশুপ্রহরের পর বিকেলের দিকে দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়ে যায় এবং প্রকাশকরা তাদের বিক্রি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। অন্যপ্রকাশ, প্রথমা, কথাপ্রকাশ, অনন্যা, বাতিঘর, আগামী, ঐতিহ্যসহ আরও বেশ কিছু প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান নিজেদের স্টলে বিক্রি নিয়ে খুশি ছিল।
বিকাল ৪টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের 'চায়না বুল স্টল' পরিদর্শন করেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। সেখানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজমও উপস্থিত ছিলেন।
এ স্টলে চীন বিষয়ক বইয়ের পাশাপাশি চীনা সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী নানা উপস্থাপনা যেমন চা শিল্প, সিংহ নাচ, ক্যালিগ্রাফি, অপেরা মাস্ক পেইন্টিং এবং পেপারকাট প্রদর্শিত হয়।
বইমেলা পরিচালনা কমিটির জনসংযোগ বিভাগ জানায়, এদিন মেলায় ১৮৪টি নতুন বই এসেছে।
১২৫ বার পড়া হয়েছে