বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যক্তিগত সকল লকার সাময়িকভাবে বন্ধ
মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বাংলাদেশ ব্যাংকের মহানিরাপত্তা এলাকার কয়েন ভল্টে ব্যক্তিগত সকল লকার সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সন্দেহ করছে যে, এসব লকারে প্রচুর অবৈধ অর্থ বা অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিকী এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ছাড়া আর কেউ ব্যাংকের লকার বা অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে পারে না। দুদক ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে যে নতুন কোন লকার বরাদ্দ না দেওয়ার পাশাপাশি, পূর্ববর্তী লকারগুলো খুলতে না দেওয়ার জন্যও অনুরোধ করেছে। মূলত, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা সেফ ডিপোজিট হিসাবে তাদের মূল্যবান সম্পদ সেখানে রাখেন, যা বাড়িতে রাখলে ডাকাতির শঙ্কা থাকে। তবে, এই সুবিধা ব্যবহারকারী কর্মকর্তাদের সংখ্যা খুবই কম।
দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠিতে লকার বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে, ৩০ জানুয়ারি দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং লকারগুলো সম্পর্কে আলোচনা হয়। অর্থ উপদেষ্টা এসব লকারের সম্পদ ফ্রিজ করার জন্য সম্মতি দিয়েছেন।
এছাড়া, দুদক সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে লকার খুলে সেগুলোর তালিকা তৈরি করার অনুমতির জন্য আবেদন করেছে। আজ (মঙ্গলবার) আদালতের নির্দেশ আসার সম্ভাবনা রয়েছে, যার পর দুদক একটি ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে লকারগুলো খুলবে।
এর আগে, দুদক অনুসন্ধান চালিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর (এসকে সুর) বাসায় অভিযান চালিয়ে ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে। তার লকার খুলে পাওয়া যায় ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ, যার মধ্যে দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও ছিল। তল্লাশির সময় আরো কিছু লকার সিলগালা অবস্থায় পাওয়া যায়, যা দুদকের সন্দেহ সৃষ্টি করেছে। এই লকারগুলোর মধ্যে অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দুদক জানায়, এসব লকারে থাকা সম্পদ যাতে কেউ সরিয়ে নিতে না পারে, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১১৯ বার পড়া হয়েছে