ফিলিস্তিনি বন্দিদের অনেকেরই পাঁজরের হাড় ভাঙা
রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১:৫৮ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালিয়েছে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল। অনেকের সাক্ষ্য অনুসারে, দিনের পর দিন নির্যাতন অব্যাহত ছিল। ফলে কিছু ক্ষেত্রে অনেকের পাঁজরের হাড় ভেঙে যায়।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সবশেষ বন্দি মুক্তির পর ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স সোসাইটি এ কথা জানিয়েছে।
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির চতুর্থ ধাপে গতকাল ৩ ইসরায়েলি ও ১৮৩ ফিলিস্তিনি মুক্তি পেয়েছেন। এসব মুক্তিপ্রাপ্তদের অনেকের শরীরে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, বাস থেকে নেমে গাজার খান ইউনিসের ইউরোপীয় হাসপাতালে যাওয়ার সময় বন্দিদের অনেককে ক্লান্ত ও দুর্বল দেখাচ্ছিল। প্রতিবার বন্দিদের মুক্তির পর নজিরবিহীন নির্যাতন, অনাহার, চিকিত্সা বঞ্চিত এবং অনেকের মধ্যে স্ক্যাবিস সংক্রমণ ছাড়াও কঠোর মারধরের নমুনা পাওয়া যায়।
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসও জানিয়েছে, গতকাল (শনিবার) ইসরাইলি কারাগারগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনি বন্দিদের শরীরে মারাত্মক আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। ইহুদিবাদী কারারক্ষীরা তাদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালিয়েছে।
ফিলিস্তিনি বন্দিদের সঙ্গে ইসরায়েলি কারারক্ষীদের এই ভয়ঙ্কর আচরণকে ‘যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে হামাস। সেই সঙ্গে ন্যায়বিচারের জন্য জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোসহ আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের মধ্যে একজন বলেছেন, গত ১৫ মাস ধরে আমরা সবচেয়ে নিষ্ঠুর নির্যাতনের সম্মুখীন হয়েছি। ইসরায়েলরা আমাদের সঙ্গে অসহনীয় আচরণ করেছে। পশুর মতো অত্যাচার করেছে আমাদের ওপর।
কেটজিওট কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া বন্দিদের সাথে ইসরায়েল প্রিজন সার্ভিস যেভাবে আচরণ করেছে, তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেড ক্রস কর্মীরা।
ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স সোসাইটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মধ্যে নির্যাতন, অনাহার, সংক্রমণ এবং খোস-পাঁচড়ার লক্ষণ দেখা গেছে। মুক্তি পাওয়ার আগে বেশ কয়েকদিন ধরে ইসরায়েলি কারারক্ষীদের প্রচণ্ড মারধরের ফলে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি বন্দির পাঁজরের হাড় ভেঙে গেছে।
১৩১ বার পড়া হয়েছে