সর্বশেষ

সারাদেশ

খোকসা সমিতির জমজমাট বনভোজন ও মিলনমেলা

আমরা যদি এক হই কুষ্টিয়াকে অনেক উপরে নিয়ে যেতে পারবো: শেখ সাদী

মুন্সী তরিকুল ইসলাম, সাভার থেকে:
মুন্সী তরিকুল ইসলাম, সাভার থেকে:

শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫ ৩:৩৩ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
জাঁকজমকপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতায় খোকসা উপজেলা কল্যাণ সমিতি-ঢাকার বর্ণিল বার্ষিক বনভোজন ও মিলনমেলা ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া জেলা সমিতি ঢাকার সভাপতি, এশিউর গ্রুপের চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো: শেখ সাদী।

এ সময় শেখ সাদী বলেন, আমাকে যদি আপনারা কোনো কাজে লাগাতে চান, আমি আপনাদের সঙ্গে থাকতে চাই। সবচেয়ে বড় ব্যাপার আমাদের কুষ্টিয়ার বড় সমস্যা আছে। আমাদের কিন্তু ইগো বেশি। আমরা একজন যদি বড় হয়ে যায়, যারা নিচে থাকে তাদেরকে আমরা মূল্যায়ন করি না, খোঁজ-খবর নেইনা। এখান থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। কুষ্টিয়া একটি বৃহৎ জেলা। বিশেষ করে খোকসা একটি ঐতিহ্যবাহী থানা। এই থানায় এতো বিখ্যাত বিখ্যাত মানুষের জন্ম হয়ে গেছে। আমরা যদি এক হই, এক কাতারে একতাবদ্ধ হই, আমরা এই থানাকে অতি তারাতাড়ি অনেক উপরে নিয়ে যেতে পারবো। শেষ কথা একটিই, আমরা দলমত নির্বেশেষে মত-ধর্ম এক হয়ে আমরা সবাই মানুষ। আমরা একে অপরের জন্য কিছু একটা করার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হই। যে প্রতিযোগিতা যোগ্য লোক যোগ্যতম স্থানে যোগ্য লোকের সম্মানিত করার। আর যারা দুর্বল তাদেরকে সাথে নিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উপজেলাটাকে কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া যায়, সে ব্যাপারে কাজ করা। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া জেলা সমিতির বৃহৎ বার্ষিক বনভোজন ও মিলন মেলা, সেটাতেও সবাইকে নিমন্ত্রণ করেন শেখ সাদী।

শুক্রবার দিনব্যাপী ঢাকার অদূরস্থ সাভারের হেমায়েতপুরের লাজপল্লী রিসোর্টে অনুষ্ঠিত খোকসা সমিতির বার্ষিক বনভোজন ও মিলনমেলায় বিশিষ্ট আবাসন ব্যবসায়ী, কুষ্টিয়া জেলা সমিতি ঢাকার সভাপতি এবং রিহ্যাবের পরিচালক মো: শেখ সাদী বেলা ১১টার দিকে পৌঁছুলে উপস্থিত কুষ্টিয়া-৪ আসনের খোকসা উপজেলাবাসীর মধ্যে বেশ চাঞ্চল্য ও উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময় অনেকেই খোকসা-কুমারখালী তথা কুষ্টিয়ায় জাতীয়তাবাদী রাজনীতির কাণ্ডারি শেখ সাদীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে সেলফি উঠান এবং একান্ত আলাপে মশগুল হয়ে উঠেন। তিনিও সে সময় সানন্দে নিজ এলাকাবাসীর সঙ্গে আন্তরিক সময়কাটান এবং হাসিমুখে সেলফিতে আবদ্ধ হন।

প্রতিবছরের ন্যায় এবারও জমজমাট এবং উৎসবমুখর পরিবেশে খোকসা উপজেলা কল্যাণ সমিতির বার্ষিক এ বনভোজন ও মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

রাজধানীর অদূরে সাভারের খোলামেলা পরিবেশের লাজপল্লী রিসোর্টে আজ শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি, ২০২৫) বিভিন্ন আনন্দঘন আয়োজনে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

সকাল ১০টার দিকে খোকসা উপজেলা কল্যাণ সমিতির প্রেসিডেন্ট মো. রবিউল আলম বাবুল, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট সিরাজুল ইসলাম, নাজিমুজ্জামানসহ নেতৃবৃন্দ বার্ষিক বনভোজন ও দিনব্যাপী মিলনমেলা উৎসবের উদ্বোধন এবং অতিথিদের স্বাগত জানান।

সকালের নাস্তা পর এরপর একে একে অনুষ্ঠিত হতে থাকে উৎসবমুখর বিভিন্ন ইভেন্ট। জুমার নামাজের বিরতির আগ পর্যন্ত কর্মসূচির মধ্যে ছিলো, বিভিন্ন বয়সের বালক ও বালিকাদের দৌড়, মহিলাদের জন্য পিলো পাসিং ও মার্বেল দৌড়, পুরুষদের জন্য ক্রিকেট খেলা ইত্যাদি।

মধ্যাহৃ ভোজ বিরতির পর বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলে বিভিন্ন শিল্পীর উৎসবমুখর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর ফাঁকেফাঁকে চলে লাকী কুপন বিক্রি। আকর্ষণীয় নানান পুরস্কার টিকেটসহ সর্বমোট ২০টি আকর্ষণীয় পুরস্কার।

এছাড়াও অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ছিলো- বাচ্চা বড়দের জন্য বিভিন্ন আয়োজন ইত্যাদি।

মুখরোচক বর্ণিল খাবারের মধ্যে ছিলো, কোল ড্রিংকস, চিকন জিলাপি, কফি, মুড়ি বাতাসা ইত্যাদি।
নাঈমা প্যাকেজিং এর এমডি মুন্সী একে আজাদ অনুষ্ঠান সম্পর্কে এক প্রতিক্রিয়ায় বার্ষিক বনভোজন ও মিলনমেলা উৎসবকে সংগঠনের ঐতিহ্য হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ সকল অনুষ্ঠানমালা আমাদের ঐতিহ্যের অহঙ্কার। শীতকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত বার্ষিক বনভোজন ও মিলনমেলা উৎসব একঘেঁয়েমি জীবনযাত্রা থেকে বের করে খোকসা-কুমারখালী তথা কুষ্টিয়াবাসী সকলের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও আত্মার সম্পর্ক সৃষ্টি করবে বলেও প্রত্যাশা করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে খোকসা উপজেলা কল্যাণ সমিতির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মো: সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে শীতকালীন তথা বনভোজনের অনুষ্ঠানমালা ধর্ম, বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে সবাই আনন্দের সাথে উদযাপন করে। বার্ষিক বনভোজন ও মিলন মেলা উৎসব আধুনিক জীবনের অসহনীয় ব্যস্ততা আর দিন যাপনের গ্লানির মধ্যে হাফ ছাড়ার অবকাশ দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে খোকসা উপজেলা কল্যাণ সমিতি-ঢাকার পরিচালনা পরিষদের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ এবং কালচারাল স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

দিনব্যাপী এ বনভোজন ও মিলনমেলা উৎসবে শিশু-কিশোরদের বিনোদনের জন্য ছিল নানা ধরনের মুখরোচক খাবার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রবিউল ইসলাম বাবুল, আনোয়ার হোসেন, একেএম নাজিমুজ্জামান, আনিচ আদনান কল্লোল, মিজানুর রহমান মোল্লা, মনোয়ার হোসেন, আবু হেনাসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

১২৪৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন