সর্বশেষ

জাতীয়

উৎসবমুখর পরিবেশে রিহ্যাবের বার্ষিক বনভোজন ও পিঠা উৎসব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,গাজীপুর থেকে
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,গাজীপুর থেকে

শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ৯:৫৬ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
জাঁকজমকপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতায় রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) বনভোজন ও বর্ণিল পিঠা উৎসব ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পতিত স্বৈরাচার ও দালাল দোসরদের পতনের পর এবারই প্রথম বহুবছর পর জমজমাট এবং উৎসবমুখর পরিবেশে রিহ্যাবের বার্ষিক এ বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়।

রাজধানীর অদূরে গাজীপুরের শ্রীপুরের ফুলে ফুলে ঢাকা গ্রীন ভিউ গলফ রিসোর্টে আজ শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি, ২০২৫) বিভিন্ন আনন্দঘন আয়োজনে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

সকাল ১০টার দিকে নবনির্বাচিত রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদুজ্জামান ও সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট লিয়াকত আলী ভূঁইয়া ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট (অর্থ) মো: আব্দুর রাজ্জাকসহ নেতৃবৃন্দ বেলুন এবং পায়রা উড়িয়ে বার্ষিক বনভোজন ও পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন।

সকালের নাস্তা পর এরপর একে একে অনুষ্ঠিত হতে থাকে উৎসবমুখর বিভিন্ন ইভেন্ট। জুমার নামাজের বিরতির আগ পর্যন্ত কর্মসূচির মধ্যে ছিলো, ৬-৯ বছর পর্যন্ত বালকদের ৩০ মিটার দৌড়, ৯-১২ বছর পর্যন্ত বালকদের ৩০ মিটার দৌড়, ৬-৯ বছর পর্যন্ত বালিকাদের বিস্কুট দৌড়, ৯-১২ বছর পর্যন্ত বালিকাদের বিস্কুট দৌড়, মহিলাদের জন্য পিলো পাসিং ও মার্বেল দৌড়, পুরুষদের জন্য বেলুন রক্ষা, ফুটবল খেলা এবং ক্রিকেট খেলা।

মধ্যাহৃ ভোজ বিরতির পর বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলে সাইমুম শিল্পগোষ্ঠীর উৎসবমুখর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর ফাঁকেফাঁকে চলে লাকী কুপন বিক্রি। প্রথম পুরস্কার ঢাকা-কুয়ালালামপুর-ঢাকা ২টি বিমান টিকেটসহ সর্বমোট ২০টি আকর্ষণীয় পুরস্কার।

এছাড়াও অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ছিলো- বাচ্চাদের জন্য বায়োস্কোপ, পুতুল নাচ, মাস্কট (ডোরেমন, মিকি মাউস) ইত্যাদি।

মুখরোচক বর্ণিল খাবারের মধ্যে ছিলো, ঝালমুড়ি, চটপটি, ফুচকা, হাওয়াই মিঠাই, চিকন জিলাপি, খই, মুড়ি, বাতাসা ইত্যাদি।

অনুষ্ঠান সম্পর্কে এক প্রতিক্রিয়ায় রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদুজ্জামান বার্ষিক বনভোজন ও পিঠা উৎসবকে সংগঠনের ঐতিহ্য হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, রিহ্যাবের অনুষ্ঠানমালা আমাদের ঐতিহ্যের অহঙ্কার। শীতকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত বার্ষিক বনভোজন ও পিঠা উৎসব একঘেঁয়েমি জীবনযাত্রা থেকে বের করে সকলের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও আত্মার সম্পর্ক সৃষ্টি করবে বলেও প্রত্যাশা করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে রিহ্যাবের ভাইস-প্রেসিডেন্ট (অর্থ) ও আরমা গ্রুপের চেয়ারম্যান মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের দেশে শীতকালীন তথা বনভোজনের অনুষ্ঠানমালা ধর্ম, বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে সবাই আনন্দের সাথে উদযাপন করে। বার্ষিক বনভোজন ও পিঠা উৎসব আধুনিক জীবনের অসহনীয় ব্যস্ততা আর দিন যাপনের গ্লানির মধ্যে হাফ ছাড়ার অবকাশ দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এছাড়া রিহ্যাবের কালচারাল স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এ এফ এম উবাইদুল্লাহ ও কো-চেয়ারম্যান ইমদাদুল হকসহ রিহ্যাব পরিচালনা পরিষদের বিভিন্ন পরিচালকবৃন্দ এবং কালচারাল স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

দিনব্যাপী এ বনভোজন ও পিঠা উৎসবে শিশু-কিশোরদের বিনোদনের জন্য ছিল পুতুল নাচ, বানর খেলা, বায়োস্কোপসহ নানা ধরনের মুখরোচক খাবার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কালচারাল কমিটির চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

২৮১ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন