সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ
বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:৩৪ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
সংস্কার কমিশনের সব প্রতিবেদন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারিতে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ছয়টি কমিশনেরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এরপর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ এসব প্রতিবেদন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, কাজের সুবিধার জন্য ছয়টি কমিশনের কাজের মেয়াদ এক মাস বাড়ানো হয়েছে। এই ছয় কমিশনেরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ৩১ জানুয়ারির মধ্যে প্রকাশ করা হবে।
এর আগে আজ সকালে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন চার সংস্কার কমিশনের প্রধান। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান সরফরাজ হোসেন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান তাদের প্রতিবেদন জমা দেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংস্কার প্রস্তাব জমা দেওয়ার পর আজ বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদন প্রকাশের কথা জানানো হয়। একই সঙ্গে ছয়টি কমিশন গঠন করা হলেও বিচার ব্যবস্থা এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। এসব কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে অন্তর্বর্তী সরকার। সংস্কার প্রস্তাব ও এগুলোর বাস্তবায়ন নিয়ে ঐকমত্য হলে সংলাপ থেকে একটি রূপরেখা আসতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর রাষ্ট্র সংস্কারের দাবি জোরালো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় অন্তর্বর্তী সরকার ৬ অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। এসব কমিশনকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য প্রথমে তিন মাসের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সেই হিসাবে ৭ জানুয়ারি তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। পরে তাদের সময় বাড়িয়ে ১৫ জানুয়ারি করা হয়। এর পর সরকার গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারী ও শ্রমবিষয়ক সংস্কারসহ নানা বিষয়ে কমিশন গঠন করে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এসব কমিশন অংশীজন হিসেবে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সংগঠনের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞসহ বিশিষ্টজনের সঙ্গে সভা করে তাদের মতামত নিয়েছে। সংবিধান সংস্কার কমিশনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মোট ৩৮টি রাজনৈতিক জোট ও দল লিখিতভাবে তাদের প্রস্তাব জমা দিয়েছে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মাধ্যমে জরিপ চালিয়ে সাধারণ মানুষের মতামত নেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে কমিশনগুলোর নিজস্ব ওয়েবসাইট ও ই-মেইলেও মতামত দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছিল।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ মঙ্গলবার সমকালকে জানিয়েছেন, বুধবার (আজ) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তাদের কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ওই দিন রাতে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, চারটি সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা হওয়ার পর সংক্ষিপ্তসার গণমাধ্যমকে অবহিত করা হবে। কমিশনপ্রধানরা জানিয়েছেন, তাদের সুপারিশগুলোর মধ্যে কিছু রয়েছে স্বল্প মেয়াদে বাস্তবায়নযোগ্য, আর কিছু দীর্ঘমেয়াদি। কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। এখন সংসদ না থাকায় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সংসদ গঠন না করা পর্যন্ত সংবিধান সংশোধন বা সংস্কার করার সুযোগ নেই বলে মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। চার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে যেসব সুপারিশ এসেছে তা নিচে তুলে ধরা হলো-
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন
বিদ্যমান এককক্ষবিশিষ্ট সংসদের পরিবর্তে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের সুপারিশ করছে সংস্কার কমিশন। প্রস্তাবে যুক্তরাজ্য ও ভারতের আদলে শক্তিশালী নিম্নকক্ষ স্থাপনের কথা থাকছে। এ ছাড়া ১০০ নারী আসনসহ নিম্নকক্ষের ৪০০টি আসনের কথা বলা হয়েছে। নারী আসনসহ নিম্নকক্ষের ৪০০ আসনে নির্বাচন হবে বিদ্যমান পদ্ধতিতে। উচ্চকক্ষে ১০৫ আসন থাকার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি আসনে রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন দেবেন। সমাজের পিছিয়ে পড়া বিভিন্ন অংশের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপতির হাতে পাঁচটি আসন দেওয়ার প্রস্তাব করা হচ্ছে। উচ্চকক্ষের বাকি ১০০ আসনে নির্বাচন হবে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে। দলগুলো নির্বাচনে সারাদেশে যত ভোট পাবে, তার অনুপাতে উচ্চকক্ষে আসন পাবে। দলগুলো উচ্চকক্ষে প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে যাতে বিভিন্ন অংশের প্রতিনিধিত্ব রাখে, সেটাও সুপারিশে উল্লেখ থাকছে।
সূত্র জানায়, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ কয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন, তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া; প্রধানমন্ত্রী, একই সঙ্গে দলীয়প্রধান ও সংসদ নেতা যাতে না হন, এমন বিধান; নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহি নিশ্চিত করা; নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের বিধান; প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা; নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা ও বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য; বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা– এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ থাকছে কমিশনের প্রস্তাবে। এ ছাড়া সংবিধানের মূলনীতিতে পরিবর্তন আনার সুপারিশও করা হচ্ছে। ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার’– এই তিনটিকে সংবিধানের মূলনীতি করার সুপারিশ করবে কমিশন। এই তিনটির পাশাপাশি আরও দুটি মূলনীতিও যোগ করা হতে পারে।
গণতান্ত্রিক জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দিয়ে সুপারিশ প্রস্তুত করেছেন বলে জানিয়েছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ক্ষমতা যাতে এককেন্দ্রীকরণ না হয়, সেই সুপারিশ থাকবে। ক্ষমতার ভারসাম্য তৈরি করতে হবে। ক্ষমতার ভাগ-বণ্টনের মধ্য দিয়ে ভারসাম্য তৈরি করা যাবে।
দেশের জনসংখ্যার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সংসদের আকার বাড়ানোর সুপারিশ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের সব মানুষকে নিতে হলে সংসদের আকার বাড়াতে হবে। নারীদের সরাসরি প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা করতে হবে। দ্বিকক্ষ সংসদ প্রসঙ্গে আলী রীয়াজ বলেন, নিম্নকক্ষ আরও বড় হলে আলোচনার জায়গা তৈরি হবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ছোট আকারে হবে উচ্চকক্ষ। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য তৈরির বিষয়ে কমিশন প্রস্তাব দেবে জানান কমিশনপ্রধান।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন
দীর্ঘ মেয়াদে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে একটি কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। এ জন্য নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে আইন পরিবর্তনের পাশাপাশি কিছু প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনেরও সুপারিশ থাকছে। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ইসির নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতকরণ; প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনে সংশোধন; গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বাড়ানো এবং নির্বাচন কমিশনকে দায়বদ্ধ করার জায়গা তৈরি, আরপিওতে শাস্তি ও ব্যবস্থা নেওয়ার বিধানগুলো কিছু ক্ষেত্রে আরও সুনির্দিষ্ট করা, হলফনামার ছকে পরিবর্তন করে প্রার্থীর বিদেশে সম্পদ থাকলে তার বিবরণ দেওয়া বাধ্যতামূলক করা, হলফনামার তথ্য যাচাই বাধ্যতামূলক করা, ‘না’ ভোটের বিধান যুক্ত করা, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোটের ব্যবস্থা করা, রাজনৈতিক দলের প্রার্থী মনোনয়ন পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন আনাসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে সুপারিশ করার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। জানা গেছে, সংবিধান সংস্কারের দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থার বিষয়টি চিন্তা করে নির্বাচন সংস্কার কমিশন তাদের সুপারিশ সাজিয়েছে। সুপারিশে ইসির ক্ষমতা বৃদ্ধির বিপরীতে দায়বদ্ধতার মধ্যে আনার কথা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে স্পিকারের নেতৃত্বে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের সুপারিশ করা হবে। ইসির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে ওই কমিটি তদন্ত করবে।
পুলিশ সংস্কার কমিশন
সংস্কার প্রস্তাবে জুলাই-আগস্টে হতাহতের জন্য দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তির সুপারিশ এবং পুলিশ যেন রাজনৈতিক দলের বাহিনীতে পরিণত না হয় ও বল প্রয়োগ-সংক্রান্ত বিষয়েও সুপারিশ করা হচ্ছে। এ ছাড়া থানায় বরাদ্দ বৃদ্ধি, পুলিশের ভাতা বাড়ানো, ব্যারাকে থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থা, থানায় সেবা নিশ্চিতসহ নানা বিষয়ে সুপারিশ থাকছে কমিশনের প্রতিবেদনে। কমিশনপ্রধান সাবেক সিনিয়র সচিব সফর রাজ হোসেনের নেতৃত্বাধীন এই কমিশন পুলিশ সংস্কারের জন্য সাধারণ মানুষের মত নিয়েছিল। কমিশনের ওয়েবসাইটে গত ৩১ অক্টোবর ‘কেমন পুলিশ চাই’ শীর্ষক এক জনমত জরিপে ১৭টি প্রশ্ন দেওয়া হয়। জনমত জরিপে দেশের ৬৪ জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ২৪ হাজার ৪৪২ জন অংশ নেয়। জরিপে পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অবসান চেয়েছে ৮৯ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। ভুয়া ও গায়েবি মামলার অবসান চেয়েছে ৯৫ শতাংশ মানুষ। ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ পুলিশের দুর্নীতি বন্ধের প্রত্যাশা করে।
দুদক সংস্কারের সুপারিশ
প্রধানত দুদকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে যা যা করা দরকার, দুদক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে সেসব সুপারিশ করা হয়েছে। কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, কমিশনারদের নিয়োগ দলীয় প্রভাবমুক্ত করতে সুনির্দিষ্ট মানদণ্ড নিশ্চিত করতে সুপারিশ করা হয়েছে, ভবিষ্যতে কমিশন যাতে দলীয় প্রভাবে প্রভাবিত না হয়, দুদকের সর্বোচ্চ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়াটাও যাতে স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক হয়। এই নিয়োগে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার সুযোগ রাখার কথাও বলা হয়েছে।
দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান সমকালকে বলেন, দুদক এখন জনপ্রশাসন তথা আমলাতন্ত্রের হাতে জিম্মি। আমলাদের প্রভাব থেকে মুক্ত করতে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব করা হয়েছে। দুদকের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক-নেতিবাচক দিক আছে, সেগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য কিছু জোরালো প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দুদক কর্মকর্তারা যাতে গর্বের সঙ্গে কাজ করতে পারে, একই সঙ্গে তাদের জবাবদিহি নিশ্চিতের ব্যবস্থা করতে যথাযথ সুপারিশ করা হয়েছে। দুদকের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কাটিয়ে ওঠার ব্যবস্থা করা হবে। সংস্কার কমিশন দুদককে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখতে চায়। কোনো প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা সীমাহীন নয়, জবাবদিহির ঊর্ধ্বে নয়– এটি নিশ্চিত করা হবে।
১০৪ বার পড়া হয়েছে