সর্বশেষ

জাতীয়

রাজধানীতে অপহরণের চেষ্টায় ব্যবসায়ী রক্তাত্ব, পাঁচদিন পর মামলা নিলো পুলিশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা

বৃহস্পতিবার , ২ জানুয়ারি, ২০২৫ ৫:৪০ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
রাজধানীতে এক তরুণ ব্যবসায়ীকে অপহরণের চেষ্টায় হামলাসহ রক্তত্ব করার পাঁচদিন পর অবশেষে মামলা নেওয়া হয়েছে। এরআগে ২৭ ডিসেম্বর রাতে দক্ষিন বনশ্রীর ডি ব্লক ৫/৩ রোডের প্রবেশমুখ থেকে অপহরণের চেষ্টা ও হামলার ঘটনায় রক্তাত্ব হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন মোঃ আলিফ চৌধুরী রনি (২৯)।

এরপর থানায় এসে মামলার চেষ্টা করেন। কিন্তু খিলগাঁও থানা পুলিশ নানা টালবাহানা করে মামলা নিতে গড়িমশি শুরু করে। অবশেষে রাজধানীর খিলগাঁও থানা পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করেছে। যার নং- ০৫, তারিখ ০২/০১/২০২৫।

তরুণ ব্যবসায়ী মোঃ আলিফ চৌধুরী রনি ওরফে রনি চৌধুরী জানান, তার বন্ধু বিশ্বজিৎ মন্ডলের একটি প্রাইভেট গাড়ি ঢাকা মেট্রো ঘ-১৭- ২০০০ এর এসি মেরামত করার জন্য গ্যারেজ মিস্ত্রী নাহিদ হাসান সবুজের কাছে পাঠান। এরপর তিনি ব্যবসায়ীক কাজে দেশের বাহিরে চলে যান। ২০২৪ সালের আগস্টে বিশ্বজিৎ মন্ডল গ্যারেজ মিস্ত্রী নাহিদ হাসান সবুজের কাছে ড্রাইভার হাসানকে গাড়ি ফেরত আনতে পাঠান। কিন্তু সে গাড়ি ফেরত না দিয়ে গাড়ির মালিক বিশ্বজিৎ এলে তার কাছে গাড়িটি দেবেন বলে জানায়। পরবর্তীতে বিশ্বজিৎ মণ্ডল দেশে এসে ২০ নভেম্বর সবুজকে ডেকে পাঠান এবং গাড়ি ফিরিয়ে দিতে বলেন। এরপর সবুজ গাড়িটি নিয়ে এসে ৬,৮৪,৫০০ টাকার একটি ক্যাশ মেমো ধরিয়ে দেয়। কিভাবে এতো টাকা বিল হয়েছে জানতে চাওয়ায় সে নানা বাহানা শুরু করে। শেষ পর্যন্ত তাকে নগদ ২,০০,০০০ টাকা দিয়ে গাড়িটি গাড়ির মালিক বুঝে নেন এবং গ্যারেজ মিস্ত্রী সবুজকে জানিয়ে দেন গাড়িটি অন্য একটি গ্যারেজে নিয়ে যাচাই করবেন। পরে গাড়ির মালিক জানতে পারেন ওই গাড়িতে কোনো কাজ করা হয়নি। এছাড়া সে গাড়ির অনেক ক্ষতি করেছে। এরপর তাকে ডাকা হলে আর আসেনি। তবে বাকি টাকা দাবি করতেই থাকে।

এদিকে ররি চৌধুরীর বন্ধু বিশ্বজিৎ ব্যবসায়ীক কাজে আবারো দেশের বাইরে চলে যান। এরপর রনি চৌধুরী গ্যারেজ মিস্ত্রী সবুজ এবং তার দলের টার্গেটে পরিণত হয়। কারণ গাড়ি নিয়ে বিরোধ মিমাংসার সময় তিনি সবসময় উপস্থিত ছিলেন। এবং গ্যারেজ মিস্ত্রীর প্রতারণা ধরিয়ে দিতে সহায়তা করেন। এক পর্যায়ে বিভিন্নভাবে হুমকিও দিতে থাকে। এই গ্যারেজ মিস্ত্রী সবুজ পতিত আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের দুর্ধর্ষ ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। একই সঙ্গে এলাকায় চাঁদাবাজী এবং মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের সঙ্গেও জড়িত। একারণে তার একটি সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীও রয়েছে। এদের ব্যবহার করে এলাকার মাদক ব্যবসা এবং চাঁদাবাজী নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। এই বাহিনীর ১৫-১৬ জন সদস্য নিয়ে ২০২৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর আনুমানিক রাত ১১টার দিকে আসামী নাহিদ হাসান সবুজসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-১৬ জন লোক নিয়ে আলিফ চৌধুরী রনি ওরফে রনি চৌধুরীর বাসার সামনে তার পথ রোধ করে। মোটর সাইকেল এবং প্রাইভেট একটি বড় গাড়ি নিয়ে বেধরক মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাকে রক্তাত্ব জখম করে। একই সঙ্গে রনি চৌধুরীর বাম হাতের আঙ্গুল ভেঙে দেয়। টানহেঁচড়া করে জোরপূর্বক ঢাকা মেট্রো ঘ-১৪-২৮১৪ নম্বারের একটি গাড়িতে তুলতে চেষ্টা করে। বেশকিছুক্ষণ ধস্তাধস্তির পরও তাকে গড়িতে তুলতে না পেরে রনি চৌধুরীর কাছে থাকা নগদ অর্থ ৬০,০০০ টাকা ও স্বর্নের চেইন, ব্রেসলাইট, আংটসহ, আনুমানিক ৩ ভরির মতো স্বর্ণ, সবমিলে ৪,৫০,০০০ টাকার মতো মালামাল ছিনিয়ে নেয়। এসময় তাদের থেকে কৌশলে নিরাপদ দূরে সরে ৯৯৯ কল করেন তিনি। তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসায় সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তবে তারা প্রাণনাশের হুমকিও দিয়ে গেছে। পরে সেখান থেকে স্থানীয় এবং স্বজনদের সহায়তায় মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন।

পরে মামলা দায়ের করতে থানায় আসেন। ৯৯৯ এর ফোন কলে আসা এসআই ফেরদৌস তাকে বেশ সহযোগিতা করেন। কিন্তু কয়েকবার মমলার লেখার পরও থানায় জমা নেয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত খিলগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ দাউদ মামলার কপি কেটে ছেটে সংশোধন করে দেন। সেই এজাহারের কপি হুবহু তুলে ধরা হলো-

বরাবর, অফিসার ইনচার্জ, খিলগাঁও থানা, ডিএমপি, ঢাকা।
বিষয়ঃ এজাহার প্রসঙ্গে।

বিনীত নিবেদন এই যে, আমি মোঃ আলিফ চৌধুরী রনি (২৯), পিতা- মোঃ হাসান, মাতা- মিসেস- মমতাজ বেগম, জাতীয় পরিচয় নং- ৩২৮০০১৩৬৯৩, মোবাইল- ০১৮৮০১৬১১৯২ স্থায়ী/বর্তমান ঠিকানাঃ হোল্ডিং- ৯০, রোড- ৫/৩, ব্লক-ডি, দক্ষিণ বনশ্রী, খিলগাঁও, ঢাকা- ১২১৯।

আপনার থানায় হাজির হইয়া আসামী- ০১) নাহিদ হাসান সবুজ (২৫), পিতাঃ মোঃ খলিলুর রহমান,
মোবাইল- ০১৮৬১৫০৯৮৭৬, বর্তমান ঠিকানাঃ নন্দীপাড়া, বড় বটতলা, ক্যাম্পের গলি, খিলগাঁও, ঢাকা- ১২১৯, এর বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করিতেছি যে, উপরের আসামী একজন গ্যারেজ মিস্ত্রী, ইনজিনিয়ার অটো মোবাইল কার সলিউশন পয়েন্ট, প্লট ৩৩, রোড-৩, ব্লক- এফ, বনশ্রী, খিলগাঁও, ঢাকা-১২১৯, এর নিকট আমার বন্ধু বিশ্বজিৎ মন্ডল (২৭), এর গাড়ি ঢাকা মেট্রো ঘ-১৭- ২০০০, তাহার গ্যারেজে গাড়ির এসি ঠিক করানোর জন্য গত জুলাই ২০২৪ সালে আসামীর নিকট নিয়ে আমার বন্ধু বিশ্বজিৎ মণ্ডল (২৭) ব্যবসায়ীক কাজে, দেশের বাহিরে যায়। আগস্ট ২০২৪ সালে আমার বন্ধু বিশ্বজিৎ মন্ডল (২৭) আসামী নাহিদ হাসান সবুজ (২৫), এর নিকট তাহার ড্রাইভার হাসান (২২) কে গাড়ির জন্য পাঠাইলে এই বলে যে, গাড়ির মালিক বিশ্বজিৎ আসলে তাহার নিকট গাড়িটি বুঝাইয়া দিবে। পরবর্তীতে বিশ্বজিৎ মণ্ডল দেশে এসে ২০/১১/২০২৪ইং তারিখে উক্ত আসামীকে গাড়িটি নিয়ে আসার জন্য বলিলে আসামী অনুমানিক রাত ১১:০০ ঘটিকায় গাড়িটি নিয়ে এসে ৬,৮৪,৫০০/- (ছয় লাখ চৌরাশি হাজার পাঁচশত) টাকার একটি ক্যাশ মেমো ধরিয়ে দেয়, কারণ জিজ্ঞাসা করিলে আসামী তালবাহানা করে তারপর আসামীকে নগদ ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা নিয়ে গাড়িটি গাড়ির মালিক বুঝিয়া নেয় এই বলে যে পরদিন আমরা গাড়িটি অন্য একটি গ্যারেজে গ্যারেজে নেওয়ার পর দেখা যায় গাড়িটির কোনো কাজ করেনি। আরো আসামী গাড়ির অনেক ক্ষতি করেছে। তাদের আসামীর সাথে এই বিষয়ে আলাপ আলোচনা করিতে চাহিলে সে দেখা করতে আসেনি। বরং আসামী বাকি টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে আমার বন্ধু বিশ্বজিৎ ব্যবসায়ীক কাজে আবার দেশের বাহিরে চলে গেলে তাকে না পেয়ে হঠাৎ গত ২৭/১২/২০২৪ইং তারিখ আনুমানিক রাত ১১:০০ ঘটিকায় উক্ত আসামী নাহিদ হাসান সবুজ, অজ্ঞাতনামা ১৫/১৬ জন লোক নিয়ে আমাকে আমার বাসার সামনে একা পেয়ে কিল, ঘুষি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নিলাফুলা জখম ও আমার বাম হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে ফেলে এবং সাথে থাকা নগদ অর্থ ৬০,০০০/- (ষাট হাজার) টাকা ও স্বর্নের চেইন, ব্রেসলাইট, আংটি, আনুমানিক ৩ ভরির মতো, যাহার মূল্য- ৪,৫০,০০০/- (চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকার মতো মালামাল নিয়ে যায় এবং আমাকে জোরপূর্বক ঢাকা মেট্রো ঘ-১৪-২৮১৪, এই গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাওয়া চেষ্টা করে আমাকে নিতে ব্যর্থ হলে যাওয়ার সময় প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে আমি ৯৯৯ কল করি, তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে আসামীগণ পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমি চিকিৎসার জন্য মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেই। এমতাবস্থায় আমার জীবন হুমকির সম্মুক্ষিন হওয়ায় আপনার থানায় হাজির হইয়া এজাহার দায়ের করিতেছি।

অতএব, জনাবের নিকট বিনীত আবেদন এই যে, উপরোক্ত বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জনাবের মর্জি হয়।

সংযুক্ত
১। মেডিকেল রিপোর্ট

বিনীত নিবেদক- (আলিফ চৌধুরী রনি), মোবাইল নং- ০১৮৮০১৬১১৯২

অফিসার ইনচার্জ মি. দাউদ সংশোধন করে দেওয়া অংশটিও হুবহু তুলে ধরা হলো-

বরাবর, অফিসার ইনচার্জ, খিলগাঁও থানা, ডিএমপি, ঢাকা।

বিষয়ঃ এজাহার প্রসঙ্গে।

 জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি মোঃ আলিফ চৌধুরী রনি (২৯), পিতা- মোঃ হাসান, মাতা- মিসেস- মমতাজ বেগম, জাতীয় পরিচয় নং- ৩২৮০০১৩৬৯৩, মোবাইল- ০১৮৮০১৬১১৯২, স্থায়ী/বর্তমান ঠিকানাঃ হোল্ডিং- ৯০, রোড- ৫/৩, ব্লক-ডি, দক্ষিন বনশ্রী, খিলগাঁও, ঢাকা- ১২১৯।

আপনার থানায় হাজির হইয়া আসামী- ০১) নাহিদ হাসান সবুজ (২৫), পিতাঃ মোঃ খলিলুর রহমান, মোবাইল- ০১৮৬১৫০৯৮৭৬, বর্তমান ঠিকানাঃ নন্দীপাড়া, বড় বটতলা, ক্যাম্পের গলি,
লিগাঁও, ঢাকা- ১২১৯, এর বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করিতেছি যে, আমার বন্ধু বিশ্বজিৎ মন্ডল এর একটি গাড়ির ওয়ার্কসপে কাজ করার বিরোধের জের ধরে তাকে না পেয়ে হঠাৎ গত ২৭/১২/২০২৪ইং তারিখ আনুমানিক রাত ১১:০০ ঘটিকায় উক্ত আসামী নাহিদ হাসান সবুজ ও অজ্ঞাতনামা ১৫/১৬ জন লোক নিয়ে আমাকে আমার বাসার সামনে একা পেয়ে কিল, ঘুষি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নিলাফুলা জখম ও আমার বাম হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে ফেলে এবং সাথে থাকা নগদ অর্থ ৬০,০০০/- (ষাট হাজার) টাকা ও স্বর্ণের চেইন, ব্রেসলাইট, আংটি, আনুমানিক ৩ ভরির মতো, যাহার মূল্য- ৪,৫০,০০০/- (চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকার মতো মালামাল নিয়ে যায় এবং আমাকে জোরপূর্বক ঢাকা মেট্টো ঘ-১৪-২৮১৪, এই গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমাকে নিতে ব্যর্থ হলে যাওয়ার সময় প্রাননাশের হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে আমি ৯৯৯ নাম্বারে কল করি তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে আসামীগণ পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমি চিকিৎসার জন্য মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেই। এমতাবস্থায় আমার জীবন হুমকির সম্মুক্ষিন হওয়ায় আপনার থানায় হাজির হইয়া এজাহার দায়ের করিতেছি।

অতএব, জনাবের নিকট বিনীত আবেদন এই যে, উপরোক্ত বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জনাবের মর্জি হয়।

১। মেডিকেল রিপোর্ট।

বিনীত নিবেদক- (মোঃ আলিফ চৌধুরী রনি), মোবাইল নং- ০১৮৮০১৬১১১২

এভাবে কয়েক দফা সংশোধনের পর থানা থেকে জানিয়ে দেয়া হয় তদন্তপূর্বক মামলা গ্রহণ করা হবে। তবে ঘটনার পাঁচদিন পরও বাদীর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। অবশেষে আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরের পর মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে। যার নং-৫।

এ বিষয়ে খিলগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মি. দাউদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তদন্তের কারণে মামলা গ্রহণে বিলম্ব হয়েছে। তবে মামলাটি দ্রুত গ্রহণ করতে না পারার বিষয়ে দু:খও প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে প্রতিশ্রুতি দেন রাতের মধ্যেই আসামীকে গ্রেফতার করা হবে।

অপহরণের চেষ্টা
ব্যবসায়ী রক্তাত্ব
পুলিশ

১৭২ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন