পাহাড়ে জমি দখলের অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী তাজুলের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ৬:২২ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
বান্দরবানের লামায় সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফৌজিয়া ইসলামের বিরুদ্ধে জমি দখল এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
এখনও প্রশাসনের সহায়তায় সাবেক এই মন্ত্রীর সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা-মামলা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তারা।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বান্দরবান প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ভুক্তভোগীরা জানান, দীর্ঘ ৩০-৪০ বছর ধরে লামা সরই ইউনিয়নের টংগা ঝিরি, পুইট্টা ঝিরি ও দেরাজ মিয়াপাড়া এলাকায় প্রায় শতাধিক পাহাড়ি ও বাঙালি পরিবার শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে সাবেক এলজিআরডিমন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফৌজিয়া ইসলাম ক্ষমতার দাপটে জালিয়াতির মাধ্যমে তাদের বসবাসের প্রায় ৩০০ একরেরও বেশি জমি দখলে নেন। এ সময় মিথ্যা মামলা দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় তাদের মারধর করে পাড়া থেকে বিতাড়িত করেন। পরে তাদের লাগানো বড় বড় সেগুন, গামারি, একাশি, আম, লিচুসহ বিভিন্ন গাছও কেটে নিয়ে যান মন্ত্রীর লোকজন। মন্ত্রীর প্রভাবের কারণে তারা আন্দোলন, প্রতিবাদ করতে পারেননি। এমনকি তারা কারও সহযোগিতাও পাননি।
তারা আরও জানান, ৫ আগস্টের গণঅভুত্থ্যানের পর তাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফৌজিয়া ইসলামও পালিয়ে যান। তখন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত থাকলেও সম্প্রতি তারা আবারও কুমিল্লা, লাকসাম, নরসিংদী থেকে সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী এনে জড়ো করছেন। তারা প্রতিনিয়ত হত্যা ও মারধরের হুমকি দিচ্ছেন।
সম্মেলনে উপস্থিত পরিবারগুলো জানায়, সম্প্রতি সাবেক মন্ত্রীর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা কয়েকবার হামলা চালিয়ে তাদের বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লোকজনকে আহত করেছে। ঘটনাস্থলে যতবার পুলিশ গেছে ততবার সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেছে। প্রশাসন এখনও সাবেক মন্ত্রীর পক্ষে কাজ করছে। আর প্রশাসনকে সব কাজে সহায়তা করছেন মন্ত্রীর চাচাতো ভাই শাহ আলম মুকুল। ফলে মামলা দিয়েও কোনও প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা।
সম্প্রতি মন্ত্রীর স্বজনদের করা মিথ্যা মামলায় ইসমাইল নামে এক রিকশাচালক কারাগারে আছেন। তার পরিবার এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। ভুক্তভোগী পরিবারের সবাই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। অনতিবিলম্বে সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফৌজিয়া ইসলাম এবং এর সঙ্গে জড়িত সবার শাস্তির দাবি করেন তারা।
১৪০ বার পড়া হয়েছে