দলের নেতৃত্বে দৃঢ় অবস্থান, কঠিন সময়ে আশার প্রতীক তারেক রহমান
রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫ ৩:১৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
দীর্ঘ প্রায় দুই দশক ধরে বিএনপির সংগঠন পরিচালনা, নির্বাচন কৌশল নির্ধারণ ও দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও কখনো সরাসরি ভোটের মাঠে প্রার্থী হননি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তবে চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তিনি নিজেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, যা বিএনপির রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
জন্মসূত্রে দেশের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য তারেক রহমান আজ আছেন রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ সন্তান হিসেবে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশের আগেই ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রে।
তারেক রহমান বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক বিশেষ অবস্থান দখল করে আছেন। দেশের অন্যতম রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেওয়া এই নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার একমাত্র জীবিত পুত্র।
দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও খালেদা জিয়ার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার ধারাবাহিকতায় তারেক রহমানকে বিএনপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই দেখা হয়ে আসছে। রাজনৈতিক কলকাঠি নাড়ানোর শিক্ষাটা পরিবার থেকেই পেয়ে এসেছেন তারেক রহমান।
তবে শুধু রাজনৈতিক উত্তরাধিকার নয়, গত ১৬ বছরের ঘাত-প্রতিঘাত, নির্বাসন ও রাজনৈতিক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে তারেক রহমান অর্জন করেছেন নতুন এক বাস্তবমুখী দৃষ্টিভঙ্গি।
সমালোচনা, আইনি জটিলতা ও দলীয় সংকট—সব মিলিয়ে সময়ের পরীক্ষায় তিনি গড়ে তুলেছেন এক ভিন্নতর নেতৃত্বের ধরন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তারেক রহমান এখন শুধু পারিবারিক ঐতিহ্যের প্রতীক নন, বরং দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের অভিজ্ঞতায় হয়ে উঠেছেন অধিক বাস্তববাদী ও কৌশলী নেতা। আগামী দিনের রাজনীতিতে তার ভূমিকা তাই আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন তারা।
২০০৭ সালের জরুরি অবস্থার পর থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করলেও তিনি দলের নীতিনির্ধারণী কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছেন। বিএনপির প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, প্রার্থী মনোনয়ন থেকে শুরু করে আন্দোলন-সংগঠনের কৌশল নির্ধারণ পর্যন্ত তার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল পর্যায়ে তার নির্দেশনাই দলীয় কর্মকাণ্ডের মূল দিকনির্দেশনা হিসেবে বিবেচিত হয়।
দলের অভ্যন্তরে অনেকেই মনে করেন, তারেক রহমান এখন বিএনপির একচ্ছত্র নেতৃত্বে পরিণত হয়েছেন। তিনি শুধু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবেই নয়, ভবিষ্যতে দলের মুখপাত্র ও প্রধান নেতৃত্ব হিসেবেও নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। তার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইঙ্গিতকে দলের নেতাকর্মীরা নতুন উদ্দীপনা হিসেবে দেখছেন, যা আগামী নির্বাচনে বিএনপির কৌশল ও সংগঠনে নতুন প্রাণ সঞ্চার করতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যদি তারেক রহমান সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন, তা বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘুরানোর ঘটনা হবে।
এতে শুধু বিএনপির রাজনীতিতেই নয়, পুরো জাতীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও নতুন ভারসাম্য সৃষ্টি হতে পারে।
বর্তমানে বিএনপির মধ্যে তারেক রহমানের অবস্থান অত্যন্ত দৃঢ় ও প্রভাবশালী। তিনি দলের নীতি, দিকনির্দেশনা এবং আন্দোলনের কৌশল নির্ধারণে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করছেন। দলের নেতাকর্মীদের কাছে তিনি এখন শুধুমাত্র নেতৃত্বের প্রতীকই নন, বরং বিএনপির ভবিষ্যৎ পুনর্গঠন ও পুনর্জাগরণের আশার কেন্দ্রবিন্দু।
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর নেতাকর্মীদের দৃষ্টি এখন তারেক রহমানের দিকে। দলের অভ্যন্তরে নানা চ্যালেঞ্জ ও অনিশ্চয়তার মধ্যে তারেক রহমানকে ঘিরেই জেগে উঠেছে নতুন আশার সঞ্চার।
তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত নেতাকর্মীরা বিশ্বাস করেন, কঠিন এই সময়ে দলের নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনা দিতে তিনি সক্ষম হবেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমান নিয়মিতভাবে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। তার নেতৃত্বে দল পুনর্গঠনের কাজ আরও গতিশীল হবে বলে প্রত্যাশা করছেন নেতাকর্মীরা।
১২০ বার পড়া হয়েছে