'মুজিবনগর ও শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই'

রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫ ১০:০৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
মুজিবনগর ও শেখ মুজিবুর রহমানের সম্পর্ক নিয়ে নতুন আলোচনায় এসেছে কিছু উল্লেখযোগ্য তথ্য।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার বলছেন যে, মুজিবনগর ও শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, ‘মুজিবনগর থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লেখিত তিনটি মূল লক্ষ্য ছিল ১. সাম্য, ২. মানবিক মর্যাদা, এবং ৩. সামাজিক সুবিচার। এগুলো ১৯৭২ সালের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়নি, কারণ অজ্ঞাত কারণে এ বিষয়গুলোকে মূলনীতি হিসেবে সংবিধানে নেওয়া হয়নি। বর্তমানে এই বিষয়গুলোকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বৈদ্যনাথতলা বা ভাবেরপাড়ায় ঘটে যাওয়া ঐতিহাসিক ঘটনাটি থেকেই বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। পরে এই স্থানটির নাম দেওয়া হয় ‘মুজিবনগর’। তবে, শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি হলেও, তিনি কখনো মুজিবনগরে আসেননি এবং এই স্থানের সঙ্গে তার সরাসরি সম্পর্ক নেই। তাহলে, এই স্থানটির নাম কেন ‘মুজিবনগর’ রাখা হলো? মনির হায়দার মনে করেন, এটি হতে পারত ‘মুক্তিনগর’, যেখানে দেশের মুক্তির সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল। তিনি বলেন, “এক ব্যক্তির নামে নামকরণ হওয়ায়, যিনি সেখানে কখনো আসেননি, বিষয়টি আমাদের ভাবতে হবে।”
গাংনী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ‘উপজেলার সমস্যা ও সম্ভাবনা’ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মনির হায়দার এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ, এবং সভাপতিত্ব করেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেন।
এছাড়া, তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে দেশ মুক্তি পেয়েছে। সেই সময়ের ফ্যাসিবাদী দমন-পীড়নকারীরা যেন আবার মাথা চাড়া দিয়ে না উঠে, সেজন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তারা এখনো অর্থের জোগান দিয়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায়। এদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের পুনরায় ফ্যাসিবাদী পথে ফেরানো, যেখানে অর্থনৈতিক ও সংগঠিত শক্তির মাধ্যমে তারা শক্তিশালী হয়ে উঠছে।’
১০৫ বার পড়া হয়েছে