গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত ৫ জন, কিন্তু মামলা নেই একটিও

রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫ ৮:১৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহতদের পরিবারগুলো মামলা করতে চাচ্ছেন না।
তারা বলছেন, শোক, অসহায়ত্ব ও অনিশ্চয়তার মাঝে মামলার পথে হাঁটা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
নিহত দীপ্ত সাহার ভাই সঞ্জয় সাহা বলেন,
‘বাবা মারা গেছেন ২০১৩ সালে। ভাইটাকেও হারালাম। আমি জানি না কে গুলি করেছে। জানলে মামলা করতাম। কিন্তু এখন আর সেই শক্তি নেই। শোক নিয়ে বেঁচে থাকাই কঠিন।’
শুধু দীপ্ত নয়, নিহত অন্য চারজনের পরিবারও একই রকম হতাশা ও অনীহা প্রকাশ করেছেন। গত বুধবার সংঘর্ষে নিহত হন আরও চারজন—রমজান মুন্সী (৩৫), ইমন তালুকদার (১৮), সোহেল মোল্লা (৩৫) ও রমজান কাজী (১৮)।
নিহত রমজান কাজী বড় হয়েছেন তাঁর মামা কলিম মুন্সীর কাছে। তিনি বলেন,
‘ভাগনের লাশ নিয়ে থানায় গেছি, ঢুকতে পারিনি। হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য দাঁড়াতেও দেয়নি। এখন কোথায় যাব, কী করব? একমাত্র আল্লাহর কাছেই বিচার চাই।’
সোহেল মোল্লার মামা জাহিদুল ইসলাম বলেন,
‘সোহেল ছিল একমাত্র সন্তান। তার মৃত্যুতে পুরো পরিবার ভেঙে পড়েছে। ময়নাতদন্তও হয়নি, আর মামলার পথে যাওয়া মানে নতুন এক যন্ত্রণা।’
রমজান মুন্সীর ভাই জামাল বলেন,
‘মামলা করে কি ভাই ফিরে আসবে? মামলা করলে কি বিচার নিশ্চিত?’
নিহত ইমন তালুকদারের মামাতো ভাই রানা ভূঁইয়া জানান,
‘ইমনের বাবা-মা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। মামলার খরচ চালানোরও সামর্থ্য নেই। তাই তারা মামলা করতে রাজি নন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মীর মোহাম্মদ সাজেদুল রহমান জানান,
‘এখন পর্যন্ত কেউ মামলা করেননি। পরিবারের কেউ না এলে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।’
১০৬ বার পড়া হয়েছে